কলকাতা 

কুণাল ঘোষকে সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দিল তৃণমূল, সপাটে ব্যাট চালালেন কুণাল চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : সকালে মে দিবস উপলক্ষে রক্তদান শিবিরের অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের প্রশংসা করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। আর এই মন্তব্যকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হওয়ার পরেই বিকেলেই সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বর্ষিয়ান এই সাংবাদিককে সরিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যে যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গেছে তৃণমূলের তারপরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি বলে পরিচিত কুণাল ঘোষের পদ কেড়ে নেয়ার মধ্যে কোন বাড়তি সুবিধা তৃণমূল কংগ্রেস পাবে বলে আমাদের মনে হয় না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আজ উত্তর মালদা তে দাঁড়িয়ে, যে ভাষায় কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর সঙ্গে যোগীর সম্পর্ক খোঁজার চেষ্টা করেছেন তা নিঃসন্দেহে উদ্বেগ জনক। একইসঙ্গে এটাও বলা যেতে পারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের প্রথম সারির নেতা কলকাতার এক অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে যে ভাষায় বিজেপির প্রার্থীকে সমর্থন করেছেন তাতে এটাই স্পষ্ট হয়েছে বিজেপি আর তৃণমূলের মধ্যে কোন তফাৎ নেই। অধীর রঞ্জন চৌধুরীর সঙ্গে যোগের সম্পর্ক থাকলেও থাকতে পারে কিন্তু সেটা ব্যক্তিগত স্তরে দলীয় মঞ্চের পদের ব্যবহার করে অধিক চৌধুরী বিজেপির পক্ষে কথা বলবেন বিজেপির প্রার্থীর পক্ষে কথা বলবেন এ ঘটনা কল্পনা করা যায় না। কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বৃত্তের মানুষটি আজকে যা করেছেন তাতে জলের মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে তৃণমূল আর বিজেপির মধ্যে কোন তফাৎ নেই।

বিবৃতিতে তৃণমূল লিখেছে, ‘‘সম্প্রতি কুণাল ঘোষ এমন অনেক কথা বলছিলেন যা দলের মতামতের সঙ্গে মেলে না। তাই এটা বোঝানো অত্যন্ত দরকার ছিল যে, উনি যা বলছেন, তা সম্পূর্ণ ভাবে তাঁর ব্যক্তিগত অভিমত। এর সঙ্গে দলের ভাবনার কোনও সম্পর্ক নেই।’’

Advertisement

আশ্চর্যজনক বিষয় হলো কুনালকে বহিষ্কার করেছে করেছেন রাজ্যসভার তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন! দলের প্রথম সারির নেতা সুব্রত বক্সি কিংবা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠিতে কোথাও স্বাক্ষর করেননি। সন্দেহটা এখানেই সাধারণ মানুষের মধ্যে আই ওয়াশ করার লক্ষ্যেই আপাতত কুনালকে শাস্তি দিলো তৃণমূল কংগ্রেস?

তাই কুনাল ঘোষ স্পষ্ট করে বলতে পেরেছেন যে পদ আমি ছেড়ে দিয়েছি সেই পদ থেকে সরানোর যৌক্তিকতা কোথায়? স্বাক্ষরকারী তৃণমূল নেতাকে কুইজমাস্টার বলে কটাক্ষ করে কুণাল বলেছেন, ‘‘আমি কুইজ় মাস্টারকে কুইজ়ের প্রশ্ন করতে চাই, আমি কত তারিখ রিলিফ চেয়েছিলাম। কী করে উনি তার পরও আমাকে ‘সরানো হল’ জানিয়ে এইরকম প্রেস বিবৃতি দেন?’’

অর্থাৎ কুণাল ঘোষ স্বপাটের ব্যাট চালিয়ে রীতিমতো তৃণমূল শিবিরকে ড্যামেজ করে দিলেন। লোকসভা নির্বাচনের মুখে তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে এর চেয়ে লজ্জার কিছু বিষয় রইল না।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ